জয় নিতাই গৌর হরি বল । জয় নিতাই গৌর হরি বল । জয় নিতাই গৌর হরি বল । জয় নিতাই গৌর হরি বল । জয় নিতাই গৌর হরি বল । জয় নিতাই গৌর হরি বল । জয় নিতাই গৌর হরি বল ।

ধ্যান মন্দির

জয় নিতাই গৌর হরিবল

ধ্যান মন্দির সম্বন্ধে

বাবাজী দেহ রাখেন -১৯৯৯সনে দেহ রাখার কিছুদিন পর বাবু হরিনারায়ন দে স্বপ্নে দেখতে পান। আমি যেখানে ধ্যানে মগ্ন ছিলাম। সেই ¯থানে একটি ঘর তৈরি করিয়া দেওয়ার জন্য আদেশ করেন। তার পরের দিন সোমবার ভোলা থেকে গিয়ে গ্রামের মধ্য বয়সী যুবক নিয়ে বাজার থেকে ঘরের সরঞ্জামাদি কিনে নিয়ে মঙ্গলবার (একদিনে ) মধ্যে ঘর তৈরি করে। বাবাজী থাকা কালীন সময় ধ্যান মন্দিরের স্থনটি ফুল বাগান নামে পরিচিত ছিল। বাবু হরিনারায়ন দে বাবাজীর দুইটি বিগ্রহ আট করে নিয়ে একটি বাবাজীর শয়ন কক্ষে, এবং অপরটি বাবাজীর ধ্যান মন্দিরে স্থাপন করে। এখনো বিগ্রহ দুইটি সংরক্ষিত আছে। পুরো কাজটি তার নিজ অর্থায়নে করে। তারপর বেশ কয়েক বছর কেটে যায়। হরিনারায়নের ভাইরে ছেলে সুমনদের বন্ধু এবং ছোট বড় সকল ভাইদেরকে নিয়ে পাকা করে টাইলস্ করে ধ্যান মন্দির নির্মান করবে।

২০১৪ সনের কির্ত্তনে-সুমন,তুহীন,নন্দদুলাল, অর্জুন, প্রবীর, শান্ত, শুভ, সংগ্রাম, হরি ও বিদুর সহ অনেকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হয় যে আমরা হরিনারায়ন বাবুর সাথে আলোচনা করে নইে। সে আমাদের সাথে একমত পোষন করেছে। সবাই মিহিরলাল বাবুকে বলল,সে বলল ভালো কথা আমি তোমাদের সাথে আছি। রবিপ্রসাদকে বলা হলো,সে ও বলল ভালো তো কর। সবাই বলে সিদ্ধান্ত নেয় একশত লক্ষীর ঘট কিনে সবারই বাড়িতে দিবে। এক বছরে যা জমবে তাহা দিয়ে কাজ শুরু করা হবে। এছাড়া ও আরো এিশ জনের একটা লিস্ট করে কিছু টাকা ধার্য্য করা হয়। তাহা দিয়ে কাজ শুরু হবে। হরিনারায়ন বাবু বলে তোমরা যে পর্যনÍ পারো কর,বাকিটা আমি দেখব।

একদিন সুমন স্বপ্নে দেখতে পায় মন্দিরের ডিজাইনটি তার মামাতো ভাই শুভ তৈরি করছে এর কাছে চিটাগাং গিয়ে বুঝিয়ে বলে। শুভ তার মতো করে কাজ করতে থাকে। বাবাজীর কৃপায় স্বপ্নের মতোই ডিজাইন তৈরি হয়ে গেল। তার পর থেকে একটি বছর কেটে গেলো। ব্যানারে ডিজাইন ছাপিয়ে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থ সংগ্রহ হয়নি বলে কাজ শুরু করতে পারছে না। সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো লোন নিবে। কর্মসংস্থান ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করা হলে ব্যাংক কর্তৃকপক্ষ বলে যে জমির দলিল লাগবে। শ্রী যুক্ত বাবু শশাঙ্ক ভুষনের নামীয় দলিল নিয়ে প্রিয়লাল বাবুর (ডি.সি.অফিস) এর সহযোগিতা কাগজ পএ সংগ্রহ করে ব্যাংক ম্যানাজার এর সহযোগিতায় (১,০০০০০) একলক্ষ টাকা লোন নেওয়া হয়। কিছুদিন পর(এম.পি)সাহেবের সাথে দেখা করে বলা হলো আপনি আমাদের ধ্যান মন্দিরটা উদ্ভোদন করবেন। বাবু রবি প্রসাদ দে বললো গ্রামের সবাইকে নিয়ে বসো। সবাইর সাথে বসা হলো আমরা সবাই একমত আছি। আমরা যার যার সামর্থ অনুযায়ী দান করব। অনেকটা সময় পেরিয়ে গেল মন্দিরের কাজ শুরু করতে পারছিল না। অবশেষ বাবু হরিনারায়ন বলল আমার কাছে একটা বুদ্ধি আছে। চরফ্যাশনের ভক্তদের দিয়ে মন্দির উদ্ভোদন করাবো এতে আর কোনো সমস্যা হবে না।

২৩/০২/২০১৬ ইং সনের কীর্ত্তনের বাড়ীর সবাইকে এবং গ্রামবাসীদের নিয়ে শ্রী অদ্বৈতানন্দ ব্রক্ষচারীকে নিয়ে মন্দির উদ্ভোদন করা হলো। এরপর মাপ ঝোপ করতে করতে ২ মাস কেটে যায়। তারপর সিদ্ধান্ত হয় আগে বাগান পরিস্কার করতে হবে। হরিনারায়ন দে এর অংশের গাছ কাটে সুমন,তুহিন,নন্দদুলাল,শান্ত। আর সে গাছ দিয়ে মন্দিরের কাজ শুরু করা হয়। আবার সেই মাপ ঝোপ শুরু হয়। মন্দিরটি কত বড় হবে। তা নিয়ে কিছু দিন কেটে যায়। ১১/০৪/২০১৬ ইং প্রথম মন্দিরের মাটি কাটার কাজ শুরু হয়। বলতে বলতে ১টি বছর কেটে যায়। ২০১৭ সনের কীর্ত্তনে ১৮/০২/২০১৭ ইং বাবাজীর বিগ্রহ মন্দিরের স্থাপন করা হয়। ১৮/০২/২০১৮ ইং সনের বাবাজীর কীর্ত্তনের বাবাজীর মূর্তী স্থাপন করা হয়। এখনো ধ্যান মন্দিরের অনেক কাজ বাকী রয়েছে। সকল বাবাজীর ভক্ত ও শীষ্য গনের কাছে আমাদের অনুরোধ আপনারা মন্দিরের কাজ সমাপ্তির জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। মন্দিরের কাজ এখনো অনেক বাকি আছে। যেমন:-

১. বাবাজীর পাথরের মূর্তী স্থাপন।
২. ভিতরে বাবাজীর ব্যাবহার কৃত সামগ্রী রক্ষনা বেক্ষনের জন্য মিউজিয়াম।
৩. ধ্যান মন্দিরের চারদিকে বাউন্ডারী ওয়াল।
৪. বাউন্ডারী ওয়ালের চারদিকে বক্স করে তাতে আমাদের সকল দেব-দেবীর মুর্তী ¯থাপন করে নব বৃন্দাবন তৈরি করা।
৫. পুকুরের চারপাশে হাটা চলার জন্য পাকা রাস্তা।
৬. মাঠের ভিতরে মনসা মন্দির স্থাপন।
৭. মাঠের ফুল বাগান, লাইট ও রাস্তা করা ।

৮.মা মনসার মন্দির স্তাপন করা

সদেশ ঠাকুর